আমিনুল ইসলাম জনি
নরসিংদীর মনোহরদীতে অর্থনৈতিক শুমারীতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সারা বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলার ন্যায় নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলায় শুরু হয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এর অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ এর কার্যক্রম। ৫ তারিখ থেকে শুরু হলো এর কাজ, এতে মোট ৪ দিন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে লিস্টিং কারী ও সুপারভাইজারগনকে।
প্রশিক্ষণ শেষে আগামী ১০ ডিসেম্বর হতে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে কাজ চলমান থাকবে। মনোহরদী উপজেলাকে মোট চারটি জোনে বিভক্ত করে এ প্রশিক্ষণটি চলমান রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,জোনাল অফিসার মনোহরদী উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের জনাব আফরিনা আক্তার মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকার কথা কিন্তু মনোহরদী পৌরসভা ও চালাকচর ইউনিয়ন এর দায়িত্বে আছেন।
জনাব মো: সাইদুর রহমান এর অধীনে লেবুতলা,খিদিরপুর, চরমান্দালিয়া,চন্দনবাড়ী এ চারটি ইউনিয়ন।
জোনাল অফিসার জনাব গোলাপ মিয়ার অধীনে শুকুন্দি,গোতাশিয়া,একদুয়ারিয়া, দৌলতপুর ইউনিয়ন।
জোনাল অফিসার জনাব জুয়েল মিয়ার অধীনে কৃষ্ণপুর,বড়চাপা,কাচিকাটা ইউনিয়নে প্রশিক্ষণ চলমান থাকলে উপস্থিতির সংখ্যা একেবারেই নগণ্য।
অংশগ্রহণকারী লিষ্টিংকারী ও সুপারভাইজারদের সাথে কথা বলে জানা যায়,
শুকুন্দী-একদুয়ারিয়া+গোতাশিয়া-দৌলতপুর সেন্টারে ট্রেনিং দেওয়ার কথা ৭৪ জন অথচ অনুপস্থিত আছে ২৪ জন
কাচিকাটা+বড়চাপা+কৃষ্ণপুর ট্রেনিং সেন্টারে অনুপস্থিত ২ জন।
পৌরসভা+ চালাকচর সেন্টারে ২ জন অনুপস্থিত রয়েছে। কিন্তু দায়িত্বরত কর্মকর্তাগণ সকলকে উপস্থিত দেখিয়ে সরকারী তহবিল থেকে বেতন উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করছে।
উল্লেখ্য যে জনাব মো: সাইদুর রহমান এর অধীনস্থ লেবুতলা,খিদিরপুর, চরমান্দালিয়া,চন্দনবাড়ী ইউনিয়নে শতভাগ উপস্থিতি ছিল।
পকল্প দপ্তর থেকে জানা যায়।জনাব গোলাম মিয়া উপজেলার শুমারীর দায়িত্ব পালন ও জোনের দায়িত্ব পালন করে। এ সকল অনিয়মের সাথে তিনি সরাসরি জড়িত। এ ধরনের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিজের মত পরিচালিত করছেন। প্রতিদিন প্রশিক্ষনে নতুন লোকজন আসে।কতজন কাজ করবে তাও তিনি বলেননি।সবকিছু গোপন করে আপ্যায়ন ভাতা ও প্রশিক্ষন ভাতাসহ সরকারী টাকা আত্মসাৎ করছেন।
এ বিষয়গুলো জানতে মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি,যায় যায় দিন পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি তাজুল ইসলাম বাদলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করতে গিয়ে প্রশিক্ষণ সেন্টার সঠিক উপস্থিতি না পেয়ে কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা সাংবাদিকদের সাথে তর্কে জড়ান এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন ধরনের হুমকী-ধমকী প্রদান করেন।
এমতাবস্থায় এ সকল দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মনোহরদী উপজেলার সুশীল সমাজ।
Leave a Reply