1. admin@dainikswadesherkantha.com : ADMIN :
  2. jakirjnu65@gmail.com : Admin : Admin
  3. Sajuahmedbd97@Gmail.com : Saju Ahmed : Saju Ahmed
December 23, 2024, 3:09 am
সংবাদ শিরোনাম:
“বানিয়াচং ৩নং ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত” “হবিগঞ্জে মসজিদের টাকা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত শতাধিক” “চুনারুঘাট শেকড় সামাজিক সংগঠন এর ৫ম মেধাবৃত্তি পরিক্ষা-২৪ সম্পন্ন” “নরসিংদী প্রেসিডেন্সি কলেজে বিজয় দিবস উদযাপন” “ভোলায় সেবা সম্মিলিত ঐক্য সমাজের আত্মপ্রকাশ” “বাংলাদেশ তুমি আমার” হাফিজিয়া মাদ্রাসার পড়াশোনা: একটি পর্যালোচনা “নবীগঞ্জে এসো মুখে হাসি ফুটাই সামাজিক সংগঠনের পুরস্কার বিতরণ ও টিশার্টের মোড়ক উন্মোচন” “মনোহরদী স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি গঠন” “বিজয় দিবস পালন করেছে চুনারুঘাট জামায়াতে ইসলামী”

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে টালবাহানা

  • Update Time : Wednesday, August 21, 2024
  • 51 Time View

অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নাটকীয়তা যেন থামছেই না। মধ্যপ্রাচ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তায় একাধিকবার বৈঠক হলেও এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। গত বছর ৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলের আগ্রাসনে ৮ বার (১৩ আগস্ট পর্যন্ত) চলেছে যুদ্ধবিরতির আলোচনা। ইসরাইলের কঠিন শর্ত ও নানা টালবাহানায় থেমে গেছে সেসব প্রস্তাব।

সোমবার নবম বারের মতো যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ইসরাইলে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গাজায় যুদ্ধবিরতির এটাই শেষ সুযোগ বলেও জানান তিনি। ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের সঙ্গে বৈঠকের পর এ মন্তব্য করেন ব্লিঙ্কেন।

গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে একাধিক প্রস্তাব উঠেছে। কাতার, তুরস্ক, মিসরসহ যুক্তরাষ্ট্রও যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজায় প্রথম যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হয় গত বছরের ২২ নম্ভেম্বর। সে সময় চার দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ওঠে। ১৫০ জন বন্দি ফিলিস্তিনির বদলে ৫০ জন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। পাশাপাশি গাজায় মানবিক সহায়তাও দেওয়া হবে।

যদিও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাব সাময়িকভাবে মেনে নেন। তবে যুদ্ধ বন্ধে অস্বীকৃতি জানান তিনি। চার দির পর দখলদার ইসরাইল আবার পূর্ণমাত্রার গাজায় আক্রমণ শুরু করে। এরপর যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় আলোচনা হয় গত বছর ডিসেম্বরের ২ তারিখ।

গাজার সশস্ত্র রাজনৈতিক বাহিনী হামাস জানায়, যুদ্ধবিরতি নিয়ে পরবর্তী আলোচনা ভেস্তে যাচ্ছে। কেননা হামাস চাইছিল ইসরাইলের আগ্রাসন পুরোপুরি বন্ধ হোক এবং সব ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হোক। কিন্তু এতেও ইসরাইল অস্বীকৃতি জানায়।

তৃতীয় যুদ্ধবিরতির আলোচনা কার্যকর হয়নি ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের কারণে। ডিসেম্বরের ১০ তারিখে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবে ভেটো দেয় ওয়াশিংটন। এরপর মিসর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ৩ ধাপে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় হামাস। সেখানে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ, ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশসহ আরও কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু নেতানিয়াহু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখে চলে চতুর্থ যুদ্ধবিরতির আলোচনা। এ সময়ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে নাকোচ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। নেতানিয়াহুও যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানান। অবশেষে মার্চের ২৬ তারিখ পঞ্চমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র ইউএনএসসি’র যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। কিন্তু ইসরাইলকে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সমর্থনও জানায় তারা।

এরপর মে মাসের ৭ তারিখ মিসরও কাতারের মধ্যস্থতায় আবারও একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আসে। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল- ধীরে ধীরে গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করবে ইসরাইল। পাশাপাশি গাজা পুনর্গঠনেও সাহায্য করবে। কিন্তু ইসরাইল কখনোই পুরোপুরি যুদ্ধবিরতি চায়নি। এ প্রস্তাবের পরই রাফাহ আক্রমণ শুরু করে ইসরাইল।

৩১ জুলাই ইরানে হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুতে আবারও থমকে যায় যুদ্ধবিরতির সপ্তমবারের আলোচনা। এরপর শেষমেশ অষ্টমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির আলোচনা চূড়ান্ত না করতে পাঁচটি কঠিন শর্ত দেন। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- হামাসের সীমান্ত অতিক্রম প্রতিরোধ, রাফাহ সীমান্তের ওপর ইসরাইলি নিয়ন্ত্রণ, ইসরাইলি বন্দিদের তথ্য ফাঁস এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের নির্বাসন। ইসরাইলের এসব শর্ত ছিল যুদ্ধবিরতির অন্তরায়।

সোমবার যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে সামনে রেখে আবারও ইসরাইল সফরে আসেন ব্লিঙ্কেন। ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলে, মধ্যপ্রাচ্যে এটি আমার নবম সফর। এটি একটি চূড়ান্ত মুহূর্ত। জিম্মিদের বাড়ি ফেরানোর, যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার এবং সবাইকে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তার দিকে নিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত ও শেষ সুযোগ।’

তবে হামাস এ চুক্তির অগ্রগতি ‘ভ্রম’ বলে মন্তব্য করেছে। কারণ গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার হবে কি-না, সে বিষয়ে এখনো মতপার্থক্য রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে হামাস। সূত্র: আলজাজিরা ও এএফপি

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

সম্পাদনা পরিষদ

  • সম্পাদক: ড. আবু হানিফ খান
  • নির্বাহী সম্পাদক: এস. এম আব্দুল্লাহ ফাহাদ জাকির
  • বার্তা সম্পাদক: আমিনুল ইসলাম
© সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত দৈনিক স্বদেশের কণ্ঠ কর্তৃপক্ষ
আইটি সহযোগিতায়: আব্দুল্লাহ ফাহাদ জাকির