” চুনারুঘাটে প্রতারণা করে পুলিশে চাকুরী তদন্তের নির্দেশ দিলেন পুলিশ আইজিপি”
বিশেষ প্রতিনিধি,চুনারুঘাট,হবিগঞ্জ।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা গাজীপুর ইউনিয়নের উছমানপুর গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আমীর হোসেন এর বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে প্রতারণা মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশে চাকুরী করে আসছেন। পুলিশের আইজিপি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্হানীয় এক সাংবাদিক মীর জুবাইর আলম।
অভিযোগে উল্লেখ্য করেন যে আমীর হোসেন তথ্য গোপন করে ও প্রতারণা মাধ্যমে পুলিশ কনেস্টবল পদে চাকরিতে যোগদন করে।দীর্ঘ ১০টি বছর এমন তথ্য গোপন করে প্রতারণার মাধ্যমে পুলিশে চাকুরী করে সরকারি রাজস্ব আত্মসাৎ করে আসছেন। একদিকে এমন প্রতারণা মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে পুলিশ বাহিনী মত একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কে কলঙ্কিত করা হচ্ছে ।বর্তমানে একজন ব্যক্তি প্রতারণার দায় নিতে হচ্ছে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।যদি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত প্রতারকে শাস্তি আওতায় না আনা হয়।তাহলে কলঙ্কের দায় পুলিশ প্রশাসনকে বহন করতে হবে।এমনটা দাবী করছেন বিভিন্ন সচেতন মহল।
অভিযোগে উল্লেখ্য করে বলেন
আমীর হোসেন লেখাপড়া অবস্থায় সে বক পাখি শিকার করতেন।বক পাখির আঘাতে তার চোখে কিছু অংশ নষ্ট হয়ে যায়।পরে তিনি চোখ অপারেশন করেন।একপর্যায়ে তার চোখ ছোট হয়ে যায়।২০১৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশে চাকুরী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন।পুলিশ যোগদানের সময় তার চোখ সমস্যা দেখা দিলে চোখটি জন্মগতভাবে সমস্যা বলে পার পেয়ে যান।পুলিশ কনেস্টবল আমীর হোসেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্মরত আছেন। পুলিশ কনেস্টবল আমীর হোসেন এর চোখের সমস্যার বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে ও সোসাল মিডিয়া প্রকাশিত হলে সিলেট মেট্রোপুলিশের কমিশনারের নজরে আসে।সিলেট মেট্রোপুলিশ কমিশনার সাংবাদিকদের জানান সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারলাম যে পুলিশ কনেস্টবল আমীর হোসেন এর চোখে জন্মগতভাবে সমস্যা হয়নি।তবে তিনি কি ভাবে চোখে এতবড় সমস্যা হয়েও পুলিশে দীর্ঘ ১০ বছর যাবত প্রতারণা করে চাকরি করছেন।বিষয়টি তদন্ত করে তার মাঝে এমন সমস্যা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠিন ভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবং তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। শুনেছি তার বিরুদ্ধে পুলিশের আইজিপি মহোদয় বরাবর লিখিত অভিযোগ হয়েছে।যেহেতু পুলিশের আইজিপি মহোদয়ের কাছে অভিযোগ হয়েছে। তিনি তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
উক্ত অভিযোগের বিষয় হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার রেজা আহমেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশে কোন প্রতারকের জায়গা হতে পারে না অভিযোগের বিষয় প্রমাণিত হলে প্রতারণার অপরাধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখিত অভিযোগের বিষয় পুলিশ কনস্টেবল প্রতারক আমির হোসেন সাংবাদিকদের বিভিন্ন তালবাহানা করে ঘুরিয়ে-ফেরিয়ে কথা বলার চেষ্টা চালায় এবং চোখের সমস্যার কথা স্বীকার করেন। কিছুক্ষণ পরে স্থানীয় সাংবাদিকদের দিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ জানায়।
স্থানীয় একাধিক সচেতন মহল প্রতারক পুলিশ কনস্টেবল এর প্রতারণার তথ্য তুলে ধরেছেন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ক্যামেরায়।
উল্লেখিত প্রতারণার বিষয় চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কবির আহমেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল আমির হোসেন এর বিরুদ্ধে আইজিপি মহোদয় বরাবরে একটি অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়ভাবে আমি তদন্ত করতেছি।
Leave a Reply