“সৌদি প্রবাসী সাবিকুল ইসলাম দালালের খপ্পরে পড়ে দিশেহারা”
বাবুল মিয়া,বিশেষ প্রতিনিধি:
একটু সুখের আশায় সহায়-সম্বল বিক্রি করে, ২৩ ডিসেন্বর ২০২৩ ইং তারিখে দালাল আলমগীর হুসেইন এর মাধ্যমে M/ S Fedreal Trading Corporation Ltd. কতৃক ভিসা প্রসেসিং করে,৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা খরচ করে সৌদি আরবে পাড়ি জমান ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার, ১৩ নং দত্তের বাজার ইউনিয়নের, পাচুলী গ্রামের সাবিকুল ইসলাম।
তিনি দালাল আলমগীর হুসেইন এর খপ্পরে পড়ছেন।
জানা যায় দালাল আলমগীর হুসেইন এর বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার, ভালুকা থানায়।
সে বিগত ৯ মাস যাবত পার হওয়ার পরও তার কোন কাজের ব্যবস্থা হয় নাই এবং তার এক ইকামা করা হয়নি। এখন সে বিভিন্ন মানুষের ধারে ধারে একটু থাকার জন্য কাকতি-মিনতি করতেছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন ভুক্তভোগী সাবিকুল ইসলাম । প্রতিবেদককে কে জানান, তাহার এখন থাকার জায়গা নেই এবং খাবার জন্য কোন টাকা ও নেই। এখন সে কি করবে সে কোন কিছুই বুঝে উঠতে পারতেছে না, সে এখন হতাশাগ্রস্ত চিন্তিত ও বটে।
উল্লেখ বিষয় হচ্ছে প্রতিবেদক, দালাল আলমগীর হুসেইন এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার পর সে বিষয় টি এড়িয়ে যায় অথাৎ দামাচাপা দেয়ার জন্য চেষ্টা করে। পরে কথা বলবে বলে ফোন কেটে দেন।
জনশক্তি রফতানির সব নিয়মনীতি মেনে দালালরা কৌশলে হাজার হাজার ফ্রি ভিসাকে কন্ট্রাক্ট ভিসা বলে চালিয়ে দিলেও সৌদি আরবে এসে কাজ পাচ্ছেন না অনেকে। পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বেকার ও অসহায় শ্রমিকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
ভুক্তভোগীরা জানান, বিভিন্ন দেশের দালালের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশিরাও। চক্রটির একটি অংশ বাংলাদেশে ভিসা বিক্রি করে, আরেকটি সৌদি আরব থেকে ভিসা সংগ্রহ এবং অন্যটি বেকার অসহায় শ্রমিকদের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে সর্বস্বান্ত করে। প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্ব হারিয়ে অনেক শ্রমিক দেশে ফিরলেও টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।
Leave a Reply