এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ বলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
তিনি বলেছেন, যারা উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) বা সমমানের পরীক্ষা বাতিল চেয়েছে, তারা মেধার মূল্যায়ন করে না। পরীক্ষা নেওয়া উচিত ছিল। এই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক।
মঙ্গলবার রাতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সারজিসের এমন বক্তব্য আসে।
চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ৩০ জুন। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে ১৮ জুলাই থেকে পরীক্ষাগুলো স্থগিত হয়ে যায়।
সেই স্থগিত পরীক্ষাগুলো ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল, সেজন্য নতুন সূচিও প্রকাশ করেছিল কর্তৃপক্ষ; কিন্তু এর মধ্যে পরীক্ষা দিতে অনাগ্রহী শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে।
এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার কয়েকশ শিক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ দেখায়। তাদের দাবি ছিল, যে কয়টি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতে এবং স্থগিত বিষয়ের পরীক্ষা এসএসসির সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে ম্যাপিং করে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হোক।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তরা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা সিঁড়ি বেয়ে সচিবালয়ের ১৮ তলায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উঠে অবস্থান নেন।
ওই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। বলা হয়, ফলাফল কীভাবে দেওয়া হবে সে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, তাদের সফল আন্দোলনে সরকার পতনের পর অনেকে এখন অযৌক্তিক দাবিতে রাস্তায় নেমে ‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতি’ তৈরির চেষ্টা করছে।
Leave a Reply